জাহাঙ্গীর হোসেন ও মৌমিতা

blog image

জাহাঙ্গীর হোসেন একটি প্রতিষ্ঠিত পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠানে জব করেন, বর্তমানে ডিজাইনার হিসাবে একটি বায়িং হাউজে কর্মরত আছেন। বাবা নিজের চাকরি নিয়ে বিজি থাকেন, মা একজন গৃহিনী। সবাই ব্যস্ত। তাই নিজেই নিজের বিয়ের জন্য লাইফ পার্টনার খুঁজতে শুরু করেছিলেন। জাহাঙ্গীর হোসেন এর জন্ম এবং বেড়ে উঠা অনেকটা ঢাকাতেই। 

ঢাকার নামকরা কয়েকটা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে উনি যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের নিয়ম কানুন ভাল লাগছিল, কিন্তু উনি বেশি সময় দিতে পারছিলেননা। কারণ চাকুরির কারণে ও অন্যান্য কাজের কারণে ব্যস্ত থাকতে হয়। সবশেষ একজন বন্ধুর পরামর্শে Biyerbarta ম্যারিজ মিডিয়াতে রেজিস্ট্রেশন করলেন। কারণ Biyerbarta তে সবকিছুই নিজের হাতে এবং যেকোন জায়গা থেকে যখন খুশি অপারেট করা যায়। 

Biyerbarta এই সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী নিয়ম কানুন তাঁর ভাল লাগতে শুরু করে। রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে তাঁর পছন্দের সাথে মিল রেখে তিনি অনেক প্রোফাইল দেখতে পেলেন। আরেকটি বিষয় Biyerbarta উনার কাছে ভাল লেগেছে যে, কেউ টাকা পেমেন্ট করার জন্য চাপ দেয়না বা জোর করে কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার কোন চেষ্টা নেই। আছে নিজের ইচ্ছাধীন পেমেন্ট করার ব্যবস্থা এবং পছন্দ অনুযায়ী যোগাযোগের ব্যবস্থা। 

এরপরে পাত্রী পক্ষ থেকে কয়েকটা অনুরোধ আসে। তিনি বুঝে শুনে কয়েকটি অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং কথাবার্তা শুরু করেন। কিন্তু তেমন একটা আগ্রহ অনুভব করলেন না। অপেক্ষা করতে থাকেন প্রিয় মানুষটির জন্য। একসময় উনি Biyerbarta থেকে একটি প্ল্যান কিনে অনুরোধ পাঠানো শুরু করলেন। অন্যদিকে মৌমিতা নাসরিন মৌ—তিনিও একজন মনের মত মানুষ খুঁজছিলেন বিয়ের জন্য। আর তাই Biyerbarta তে তিনিও রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। 

এরপরে অনেকেই অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন উনাকে। কিন্তু মিল হচ্ছিল না। ডিসেম্বর-২০২২ সালের ৩০ তারিখে জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে থেকে অনুরোধ আসে। জাহাঙ্গীর হোসেন এর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, উচ্চতা, বয়স, পারিবারিক অবস্থা সবকিছুই মিলে যাচ্ছিল মৌমিতার পছন্দের সাথে। মৌমিতা তাই জাহাঙ্গীর হোসেন এর অনুরোধটি গ্রহণ করেন। 

এরপরে শুরু হয় কথাবার্তা। দুইজনেই ব্যস্ত অর্থাৎ চাকুরিজীবী এবং পড়াশুনা নিয়ে, তাই ফোনে মাঝে মাঝে কথা হত কিন্তু দেখা হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দুইজনের কথা বার্তার মাধ্যমে ভাল বোঝাপড়া শুরু হয়ে গেল। এভাবে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা এবং সম্মানবোধ সৃষ্টি হওয়াতে দুইজনেই সরাসরি দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। যশোরের একটি রেস্টুরেন্ট দুইজনের দেওয়া সময় অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা হল। 

যাইহোক, দুইজনের দেখা হলে পরস্পরের দেওয়া তথ্য আরো সঠিক প্রমানিত হল। এভাবে আর এক বার দেখা-সাক্ষাতের পরে পরস্পরের অভিভাবককে জানানো হলো। অভিভাবকরা আরো চিন্তা-ভাবনা করতে বললেন, খোঁজ-খবর নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। 

সবশেষে, বিয়ের আয়োজন করা হল। তাঁরা এখন বিবাহিত দম্পত্তি। সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন আমাদেরকে। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিয়ে হওয়াতে আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন এর বিয়েরবার্তা সম্পর্কে বক্তব্যঃ “I am thankful to Biyerbarta as I found my life partner through this site” Share on left-arrowright-arrow

কমেন্ট

কমেন্ট করার জন্য লগইন করুন
লগইন করুন

কোনো কমেন্ট নাই

whats app image