বিয়ের বার্তা কি?
সঠিক জীবনসঙ্গী খোঁজা যেকোন মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন কাজগুলির মধ্যে একটি। আমাদের লক্ষ্য হল আপনার নিখুঁত সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আপনাকে সাহায্য করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা ২০১৮ থেকে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং যা যা করতে পারি তাই করি। বর্তমানে সেই কাজকে আরো গতিশীল করতে ওয়েবসাইটে সেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছি।
বিয়েরবার্তা হল অনলাইনে পাত্র বা পাত্রী খুঁজবার একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করছি যার সাহায্যে পাত্র এবং পাত্রীর পরিচিত হবার প্রক্রিয়াটি সহজতর হয়। আমাদের একটি Android Apps আছে যার সাহায্যে আপনি আমাদের সেবাসমূহ নিতে পারবেন।
উদ্দেশ্য
কোথায় যেতে চাই?
বিয়ে করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক বাংলাদেশীর বিয়েরবার্তাতে Account থাকবে এবং বিয়েরবার্তার মাধ্যমে তারা পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজবেন। কেননা Biyerbarta.com টিম হল পরিশ্রমী, সৎ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ লোকদের একটি দল যারা চূড়ান্ত অংশীদার অনুসন্ধান অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য সর্বদা চেষ্টা করে এবং বিশ্বাস করে যে আমাদের কর্ম এবং পরিষেবা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আমরা গত ৫ বছর ধরে আমাদের সদস্যদের সেবা করতে পেরে গর্বিত।
আমরা কী করছি?
পাত্র-পাত্রি খোঁজাকে আরো সহজ আর আনন্দময় করা আমাদের উদ্দেশ্য।কেননা মাত্র দুই অক্ষরের শব্দ বিয়ে। কত সহজেই না ঘটে যাওয়ার কথা। পঞ্চম শতাব্দীর দিকে, সাহাবারা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কোনও বাসায় ঢুকলে বিয়ে করেই সেই ঘর থেকে বের হতেন। ব্যাপারটা এতই সহজ, সরল আর স্বাভাবিক ছিল। অত আগেই বা যাচ্ছি কেন? আজ থেকে দশ-পনের বছর আগে এই বাংলাদেশেরই কোন গ্রামে কারও বিয়ের বয়স হলেই প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসতেন প্রস্তাব নিয়ে। নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা চলতে থাকতো দিনের পর দিন। হয়তো সপ্তাহ খানেক অথবা মাস খানেক, তারপরই হয়ে যেত বিয়ে।
আর আজকের দিনে?
মানুষজন তাদের দৈনন্দিন জীবনে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে কেউ আর সেভাবে কারও খবর রাখতে পারে না - অথবা খবর রাখতে চায়ও না। শহরে আমি যে বিল্ডিংটাতে থাকি, সেই বিল্ডিংয়ের সবাইকে তো চিনি না, পাড়া-প্রতিবেশীর খবর রাখা তো দূরের কথা! তাছাড়াও বিয়ের প্রস্তাব নেওয়ার কথা মাথায় এলে একটা চিন্তাও এসে পড়ে - বিয়ের পর যদি স্বামী-স্ত্রীর ভেতর মনোমালিন্য হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই যিনি বিয়ের মধ্যস্থতা করেছেন তাকেই দোষ দেওয়া হয় - ইদানীং এটা আরও বাড়ছে। আগে যেটা মানুষজন প্রচণ্ড খুশী হয়ে করতেন এখন সেটাকেই 'ঝামেলা' মনে করেন। গ্রামেতো পারিবারিক, সামাজিক দ্বন্ধের কারনে আরো বহুরকম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।দিনে দিনে গ্রামগুলোতে একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির, পরিবারের সাথে পরিবারের আগের দিনের সেই আন্তরিকতা ও মধুর সম্পর্ক দিন দিন কমে আসছে।এসব নানাবিধ কারণে, বিয়ের জন্য ভালো একজন জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীর খোঁজ পাওয়াটা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে উপায়?
আমরা বিশ্বাস করি মানুষের জন্মের আগেই সৃষ্টিকর্তা তার সঙ্গী ঠিক করে রাখেন। তাহলে তাকে খুঁজে পাওয়া এত কঠিন হবে কেন? আমরা তো আজকাল সবই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজে পেয়ে যাচ্ছি। বাসা থেকে বের হয়ে মুদি দোকানেও যাচ্ছি না। জামা-কাপড়-জুতা থেকে শুরু করে সবকিছুই অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছি। চাকরি খোঁজার জন্য কি আর এখন মানুষ কাগজে "চাকরির বিজ্ঞাপন" খুঁজে বেড়ায়? সেই যে আমার হারিয়ে যাওয়া স্কুলের বন্ধু, যাকে প্রায় বিশ বছর দেখি না তাকেও তো সেদিন ইন্টারনেটেই খুঁজে পেলাম।
সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি সহজে, কম খরচে ও সম্মানজনক উপায়ে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া প্রতিটি মানুষের অধিকার। বিয়েরবার্তা-তে আমরা সেই অধিকারটি নিশ্চিত করার চেষ্টাই করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রি খোঁজাকে আমরা যতদিন পর্যন্ত না সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দময় করতে পারছি — আমাদের কাজ ততদিন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
কেন বিয়েরবার্তা ম্যারিজ মিডিয়া বেছে নিবেন ?
✔ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিবন্ধন!
✔ ১০০% যাচাইকৃত প্রোফাইলের সম্ভার
✔ পছন্দের পাত্র-পাত্রীর সাথে চ্যাটিং
✔ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তায় বিশেষ নজরদারি
✔ অনুমতি ছাড়া কারো যোগাযোগের তথ্য শেয়ার হয়না
✔ ২৪/৭ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা হয়
✔ বিয়েরবার্তার বিশেষ সাপোর্ট
Biyerbarta.com-এ, আমরা আপনার জীবন সঙ্গী খুঁজে পেতে ও একটি সুখী জীবনযাত্রা কামনা করি এবং এর অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। কাজেই আর দেরি না করে এখনই আপনার জীবনসঙ্গী খোঁজা শুরু করুন।