মৌমিতা নাসরিন মৌ অনার্স পড়ছিলেন, পড়াশোনা চলা অবস্থায় পরিবারের পক্ষহতে বিয়ের আলাপ-আলোচনা শুরু হয়।একসময তিনিও একজন মনের মত মানুষ খুঁজছিলেন বিয়ের জন্য। আর তাই Biyerbarta তে তিনিও রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। কারণ Biyerbarta তে সবকিছুই নিজের হাতে এবং যেকোন জায়গা থেকে যখন খুশি অপারেট করা যায়। Biyerbarta এই সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী নিয়ম কানুন তাঁর ভাল লাগতে শুরু করে।এরপরে পাত্র পক্ষ থেকে কয়েকটা অনুরোধ আসে। তিনি বুঝে শুনে কয়েকটি অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং কথাবার্তা শুরু করেন। কিন্তু তেমন একটা আগ্রহ অনুভব করলেন না। অপেক্ষা করতে থাকেন প্রিয় মানুষটির জন্য। একসময় উনি Biyerbarta থেকে একটি প্ল্যান কিনে অনুরোধ পাঠানো শুরু করলেন।
এরপরে অনেকেই অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন উনাকে। কিন্তু মিল হচ্ছিল না। ডিসেম্বর-২০২২ সালের ৩০ তারিখে জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে থেকে অনুরোধ আসে। জাহাঙ্গীর হোসেন এর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, উচ্চতা, বয়স, পারিবারিক অবস্থা সবকিছুই মিলে যাচ্ছিল মৌমিতার পছন্দের সাথে। মৌমিতা তাই জাহাঙ্গীর হোসেন এর অনুরোধটি গ্রহণ করেন।
এরপরে শুরু হয় কথাবার্তা। দুইজনেই ব্যস্ত অর্থাৎ চাকুরিজীবী এবং পড়াশুনা নিয়ে, তাই ফোনে মাঝে মাঝে কথা হত কিন্তু দেখা হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দুইজনের কথা বার্তার মাধ্যমে ভাল বোঝাপড়া শুরু হয়ে গেল। এভাবে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা এবং সম্মানবোধ সৃষ্টি হওয়াতে দুইজনেই সরাসরি দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। যশোরের একটি রেস্টুরেন্ট দুইজনের দেওয়া সময় অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা হল।
যাইহোক, দুইজনের দেখা হলে পরস্পরের দেওয়া তথ্য আরো সঠিক প্রমানিত হল। এভাবে আর এক বার দেখা-সাক্ষাতের পরে পরস্পরের অভিভাবককে জানানো হলো। অভিভাবকরা আরো চিন্তা-ভাবনা করতে বললেন, খোঁজ-খবর নেওয়ার পরামর্শ দিলেন।
সবশেষে, বিয়ের আয়োজন করা হল। তাঁরা এখন বিবাহিত দম্পত্তি। সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন আমাদেরকে। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিয়ে হওয়াতে আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।